বিস্বাস part:2 & end part.
প্রেমে গদ্গদ হয়ে ইরার সাথে সারারাত কথা বলল মিঠু গাধাটা। ঘটনাটা যাতে বেশি দূর না এগোয় নাসরিন ওকে ফোন করছিল বারবার। কিন্তু মিঠু বুঝতেই পারেনি যে নাসরিন ফোন করেছে। কারন সেদিনই ওকে মানা করছিল নাসরিন-যাতে কোন প্রকার কল করা না হয় কারন সে তার কাজিনের শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে।
৩
রাত ২ টার মত বাজে। ঘুমুতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি( আমি দেরীতে ঘুমায়) এমন সময় তীব্র আর্তনাদ করে উঠল আমার মোবাইলটা। ডিসপ্লে তে তাকিয়ে দেখি মিঠুর ফোন। অত্যন্ত বিরক্তিরসাথে ফোন টা রিসিভ করলাম।
"রাহাত আমাকে বাঁচা! কিছু একটা কর!"
"দোষ তো তোর"
"আমি সব স্বীকার করছি,কিন্তু তুই তো জানিস আমি ওকে কত ভালবাসি"
"এখন আমি কি আর করতে পারি বল? তোর দোষ তো আর একটা না,একেতো সারারাত কথা বলেছিস মেয়েটার সাথে। তার উপর স্বীকার করিসনি। সম্পর্ক নষ্ট হবার জন্য এর যেকোন একটি কারনই তো যথেষ্ট"
"আমি এখন কি করবো? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।"
মনে হল মিঠু কাঁদছে। কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম "ঠিক আছে আমার যথা সাধ্য চেষ্টা করবো। এখন ঘুমুতে যা! প্রচুর জ্বালিয়েছিস আমাকে!"
৪
দুই বছর পর।
একদিন বিকেলে জানালার ধারে বসে দূরের আকাশ দেখছি। এমন সময় কলিং বেলের শব্দ। বোন দরজা খুলে দিল। নাসরিন এসেছে। হাতে একটি কার্ড। তাকে দেখে মনে হল বেশ তাড়াহুরার মধ্যে আছে। কার্ড আমাকে দিয়েই বলল "অবশ্যই যাবি"
"অবশ্যই যাব" বললাম আমি।
এ কথা সে কথা বলার পর আর জামাই কি করে না করে ইত্যাদী জানার পর বললাম,"একটা কথা বলব। রাগ করবিনা তো?"
"আমি জানি তুই কি বলবি? তবু তোর কথা শুনব,কোন রাগ করবনা"।
"মিঠুর সাথে ব্রেকের ব্যাপারটা মনে হচ্ছে তোর ঠিক হয়নি।ছেলেটা তোকে সত্যি ভালবাসতরে...
"কথা শেষ হয়েছে?" ভ্রু নাচিয়ে বলল ও।
"না" বললাম আমি "সে না হয় ভুল করেছে কিন্তু এতদিন ওর সাথে তুই যা করেছিস সেটা অপরাধ ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা আমি"
"মানে?"
"তোর আর মানে বুঝার কাজ নেই। ভালকরে বিয়ের প্রস্তুতি নে"।
৫
আরো পাঁচ বছর পর।
মিঠুদের ড্রয়িং রুম। আমি আর মিঠু গল্প করছি। বন্ধুদের মধ্যে আমরা প্রায় সবাই বিয়ে করে সংসার ধর্ম পালন করছি। কিন্তু মিঠু করেনি কিংবা করছেনা। যদিও আর্থিক ও সামাজিকভাবে সে বেশ প্রতিষ্টিত। বিয়ের দায়িত্ব নেবার সব যোগ্যতাই তার আছে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওকে বললাম "তুই কি জীবনেও বিয়ে করবিনা?"
"না"
"পারবি তুই এ শপথ ধরে রাখতে?"
"তুই জানিসনা দোস্ত!" অদ্ভুত রকমের শান্ত কন্ঠে মিঠু বলল "আমি কোরান ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম নাসরিনকে যদি বিয়ে না করি তাহলে জীবনে আর কখনো কাউকে বিয়ে করবনা!"
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। এ কী শুনলাম আমি! আর ঠিক তখুনি জানিনা কেন, হঠাৎ আমার প্রায় সাত আট বছর আগে নাসরিনকে বলা ইরার একটি কথা মনে পড়ে গেল- "ছেলেদের বেশি বিশ্বাস করোনা আপু, ওরা খুব খারাপ!"
৩
রাত ২ টার মত বাজে। ঘুমুতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি( আমি দেরীতে ঘুমায়) এমন সময় তীব্র আর্তনাদ করে উঠল আমার মোবাইলটা। ডিসপ্লে তে তাকিয়ে দেখি মিঠুর ফোন। অত্যন্ত বিরক্তিরসাথে ফোন টা রিসিভ করলাম।
"রাহাত আমাকে বাঁচা! কিছু একটা কর!"
"দোষ তো তোর"
"আমি সব স্বীকার করছি,কিন্তু তুই তো জানিস আমি ওকে কত ভালবাসি"
"এখন আমি কি আর করতে পারি বল? তোর দোষ তো আর একটা না,একেতো সারারাত কথা বলেছিস মেয়েটার সাথে। তার উপর স্বীকার করিসনি। সম্পর্ক নষ্ট হবার জন্য এর যেকোন একটি কারনই তো যথেষ্ট"
"আমি এখন কি করবো? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।"
মনে হল মিঠু কাঁদছে। কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম "ঠিক আছে আমার যথা সাধ্য চেষ্টা করবো। এখন ঘুমুতে যা! প্রচুর জ্বালিয়েছিস আমাকে!"
৪
দুই বছর পর।
একদিন বিকেলে জানালার ধারে বসে দূরের আকাশ দেখছি। এমন সময় কলিং বেলের শব্দ। বোন দরজা খুলে দিল। নাসরিন এসেছে। হাতে একটি কার্ড। তাকে দেখে মনে হল বেশ তাড়াহুরার মধ্যে আছে। কার্ড আমাকে দিয়েই বলল "অবশ্যই যাবি"
"অবশ্যই যাব" বললাম আমি।
এ কথা সে কথা বলার পর আর জামাই কি করে না করে ইত্যাদী জানার পর বললাম,"একটা কথা বলব। রাগ করবিনা তো?"
"আমি জানি তুই কি বলবি? তবু তোর কথা শুনব,কোন রাগ করবনা"।
"মিঠুর সাথে ব্রেকের ব্যাপারটা মনে হচ্ছে তোর ঠিক হয়নি।ছেলেটা তোকে সত্যি ভালবাসতরে...
"কথা শেষ হয়েছে?" ভ্রু নাচিয়ে বলল ও।
"না" বললাম আমি "সে না হয় ভুল করেছে কিন্তু এতদিন ওর সাথে তুই যা করেছিস সেটা অপরাধ ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা আমি"
"মানে?"
"তোর আর মানে বুঝার কাজ নেই। ভালকরে বিয়ের প্রস্তুতি নে"।
৫
আরো পাঁচ বছর পর।
মিঠুদের ড্রয়িং রুম। আমি আর মিঠু গল্প করছি। বন্ধুদের মধ্যে আমরা প্রায় সবাই বিয়ে করে সংসার ধর্ম পালন করছি। কিন্তু মিঠু করেনি কিংবা করছেনা। যদিও আর্থিক ও সামাজিকভাবে সে বেশ প্রতিষ্টিত। বিয়ের দায়িত্ব নেবার সব যোগ্যতাই তার আছে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওকে বললাম "তুই কি জীবনেও বিয়ে করবিনা?"
"না"
"পারবি তুই এ শপথ ধরে রাখতে?"
"তুই জানিসনা দোস্ত!" অদ্ভুত রকমের শান্ত কন্ঠে মিঠু বলল "আমি কোরান ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম নাসরিনকে যদি বিয়ে না করি তাহলে জীবনে আর কখনো কাউকে বিয়ে করবনা!"
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। এ কী শুনলাম আমি! আর ঠিক তখুনি জানিনা কেন, হঠাৎ আমার প্রায় সাত আট বছর আগে নাসরিনকে বলা ইরার একটি কথা মনে পড়ে গেল- "ছেলেদের বেশি বিশ্বাস করোনা আপু, ওরা খুব খারাপ!"
Comments
Post a Comment
thanks